করোনার টিকা আবিস্কার
যত দিন যাচ্ছে তত আমরা করোনাভাইরাসের ঠেকানোর টিকা আবিস্কারের কাছাকাছি এসে যাচ্ছি। তবে এ টিকা নিরাপদ এক কার্যকর হতে হবে। সেটা একদিনে করে ফেলার মত কাজ নয়।
টিকা জিনিসটা কি?
টিকা হচ্ছে, দেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য একটা নিরাপদ ট্রেনিং কোর্সের মত। ভাইরাস বা ব্যাক্টোরিয়াগুলো ‘চিনিয়ে দেয়’ এই টিকা। আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা তখন এই অনুপ্রবেশকারীদের নিচতে পারে, এবং কিভাবে তার সাথে লড়তে হবে তা শিখিলে নেয়। ফলে আসল ভাইরাস ঢুকলে তার আগে থেকেই জানা থাকে, কিভাবে এর সাথে লড়তে হবে।
কি গবেষণা করা হচ্ছে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকা তৈরির জন্য নানা দেশে ৭০টিরও বেশি দল কাজ করছে। এটা এখন পুরো পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় পরিণত হয়েছে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অন্য গবেষণা বন্ধ রেখে পুরোদমে টিকার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এরই মধ্যে কিছু প্রাণীর উপর পরীক্ষা হয়েছে, মানবদেহেও পরীক্ষা চলছে।
এই টিকা কবে তৈরী হবে?
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০২০ এর অক্টোবরেই হয়তো এটা তৈরী হতে পারে, যদি প্রতিটা স্থরে সবকিছু পরিকল্পনা মতো এগোয়। যদি কোন কিছুতে ভুল হয় তবে সবই আবার পিছিয়ে যেতে পারে। তবে অধিকাংশেরই ধারনা, টিকা তৈরী করতে আরো ১ বছর বা ১৮ মাস লেগে যাবে। তার মানে, আগামী বছরের অর্ধেক সময় লেগে যাবে।
এত সময় লাগবে কেন?
কারণ, টিকা তৈরী এবং উৎপন করতে অনেক সময় লাগে। করোনা ভাইরাসের অনেক কিছুই এখনও আমাদের অজানা। তবে আমরা এর জেনেটিক কোড জানি। এই কোড হচ্ছে একটা ব্লু প্রিন্টের মতো। কিছু বিজ্ঞানী এর কিছু অংশ তুলে নিয়ে পরিচিত কোন ভাইরাসের সাথে সমন্বয় করছেন। যাতে এটাকে ভাইরাসের মতো দেখায়। তখন এটা প্রানী বা মানবদেহে প্রয়োগ করা যাবে। অন্য বিজ্ঞানীরা পুরো কোডটিকেই প্রাণীর দেহে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করছেন।
গবেষকরা কার্যকর একটা কিছু পেলে তা বার বার পরীক্ষা করে দেখতে হবে। অনেকগুলো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে হবেচ। যাতে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটা কার্যকর এবং এর কোন বিরুপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না। তার পরের কাজটা হলো বিপুল সংখ্যা এই টিকা উৎপাদন, নানা দেশে পাঠানো এবং সারা দুনিয়ার মানুষের মধ্যে এই টিকা বিতরণ করা।
মোঃ সাব্বির হোসাইন
Admin
7 মন্তব্যসমূহ