করোনাভাইরাস দেশে আগামী দুই-তিন মাসে যাবে না। এ ভাইরাস আরো দুই-তিন বছর বা তার চেয়েও স্থায়ী হবে। তবে সংক্রমনের মাত্রা অতিরিক্ত নাও হতে পারে। এই জন্যই সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। করোনা থেকে মুক্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত অনলাইন বিশেষ বুলেটিনে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, অনেক দিন পর যুক্ত হলাম এই অনলাইন বুলেটিনের উপস্থাপনায়। আমি নিজেও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলাম এবং আমাকেও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। সুস্থ্য হয়ে আজ কয়েকদিন হলো অফিসে যুক্ত হয়েছি। বক্তব্যের শুরুতে করোনায় আক্রান্ত বিশেষ ব্যক্তিত্বদের বিষয়ে বলেছেন, তাদের মৃত্যু অপূরণীয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ অন্যদিকে করোনাভাইরাসও ছোয়াছে রোগ। তাই অসতর্ক চলাফেরা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে দেশে করোনায় আক্রান্তের হার মোকাবিলা অত্যান্ত কঠিন হয়ে পড়বে। দীর্ঘ সময় অর্থনৈতিক কার্যক্রম, আয়-রোজগারের পথ এবং অন্যান সামাজিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলে দেশের মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এই জন্য জীবন-ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য সরকারকে কাজ করতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষন করে তিনি বলেন, কিছু কাল পরে বাংলাদেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমন কিছুটা কমে আসতে পারে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ানো হলে অনেক লুকায়িত উপসর্গের রোগী শনাক্ত হবে। বিশ্ব জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের পরামর্শ হলো করোনা আগামী দুই-তিন বছরে শেষ হবে না। করোনা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যগত বিষয় নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক সকলকে কিছুকে ঘিরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যগত বিষয়ে কড়া নজর দিচ্ছেন। দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। আরো অন্যান্য পদে নিয়োগ চলছে বলেও জানান।
কোভিড-১৯ পরীক্ষার কাজ সরকারী-বেসরকারি সংস্থা মিলে জেলা পর্যায়ে খুব দ্রুত নেওয়া হচ্ছে। আরটিপিসিআর পরীক্ষা যদদ্রুত সম্ভব নেওয়া হবে। সহজে করা যায় এমন পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হবে। সকল জেলা হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের কাজ চলছে। জেলা হাসপাতালগুলোতে ঔষধ সহ অন্যান্য সকল সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকাকে বিভিন্ন জোন হিসেবে ভাগ করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ